ধরেন্ডা খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এর ঋণ নীতিমালা ও ঋণের সিলিং ০১/০৮/১৯৯৬ খ্রী: তারিখ হতে এবং পরবর্তী সর্বশেষ সংশোধনী ১৪/১০/২০১১, ০২/১২/২০১১, ১৪/১২/২০১২, ৩১/০১/১৪, ১৯/০৯/২০১৪, ২৪/০৬/১৬, ১৫/০২/১৯ এর সূত্র ধরে বর্তমান প্রেক্ষাপটে (২০/০৯/২০১৯ খ্রী: তারিখে ঋণ পলিসি/ ঋণের সিলিং সংশোধিত, ১৯/০২/২০২১ খ্রী: তারিখে রিবেট নীতিমালা সংশোধিত, ও ২০/০৩/২১ খ্রী: তারিখে পারিবারিক ঋণ নীতিমালা প্রনয়ন করায় ২০/০৮/২০২১ খ্রী: তারিখে মাসিক সভায় সংশোধন করা হয়। চলতি বছরে পরিশোধিত ঋণ পুনরায় গ্রহণ নীতিমালা ও টপআপ ঋণ নীতিমালা সংযোজন আকারে এবং জামিন সহজীকরণ করে পুন: সংশোধনী প্রয়োজন দেখা দিলে ২১/১০/২০২২ খ্রী: তারিখে পূন: সংশোধন আকারে নতুনভাবে নীতিমালাটি অনুমোদন করা হয়।
ঋণ আবেদন করার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত যোগ্যতা সমূহ থাকতে হবে :
আবেদন ইচ্ছ্কু সদস্যের সদস্য পদের মেয়াদ ৭ মাস হতে হবে এবং প্রতি মাসে নিয়মিত শেয়ার জমা থাকতে হবে।
কোন অপরাধে সাধারণ সভা (এজিএম) বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঋণ সুবিধা বন্ধ করা হয় নাই এমন সদস্য হতে হবে।
জামিন সংক্রান্ত ঝামেলা না থাকলে যেকোন সদস্য তার নিজস্ব শেয়ারের ৮০% হিসাবে ঋণ গ্রহন করতে পারবেন। তবে উক্ত ঋণ থাকা অবস্থায় অন্য কোন সদস্যের ঋণের জন্য জামিন হতে পারবে না।
৬৫ বছর ১ দিন হতে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত সদস্য-সদস্যাদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ৩ গুণ হিসাবে ঋণ প্রদান করা হবে।
৭০ বছর ১ দিন হতে ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত সদস্য-সদস্যাদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ২ গুন হিসাবে ঋণ প্রদান করা হবে।
৭৫ বছর ১ দিন হতে তদুর্ধ সদস্য-সদস্যা কোন ধরণের ঋণের সুবিধা পাবেন না। তবে জামিন সংক্রান্ত কোন বাধা না থাকলে তার নিজস্ব শেয়ারের ৮০% ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
সদস্যগণ যে মাসে ঋণ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক তার পূর্ববর্তী মাসের মধ্যে উক্ত হিসাবের ঋণ পরিশোধিত থাকতে হবে।
নিয়মিত সদস্যগণের পূর্বের ঋণ ৩০% পরিশোধ করিলে টপআপ ঋণ হিসাবে পুনরায় ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন এবং নতুন ঋণ হতে ৭০% ঋণ সমন্বয় করে বাকী ঋণ সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তর করা হবে।
একই মাসে একই সদস্য ঋণদান এবং হাউজিং প্রকল্প হতে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে একই মাসে একান্নবর্তি পরিবারে দুইজন সদস্য ঋণ আবেদন করতে পারবেন।
সমিতির নির্ধারিত আবেদন পত্রে ঋণের জন্য আবেদন করতে হবে।
ঋণ আবেদন পত্রের সাথে সমিতির নির্ধারিত ফরমে আবেদনকারীর নিজের এবং তার পরিবারের সদস্যদের আয়-ব্যয়ের বিবরণ সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে সমিতির নির্দেশনা অনুসারে প্রমাণ পত্র হিসেবে আবেদনকারীকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট, অন্য সমবায়ী সমিতির সঞ্চয়ী হিসাবের স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে।
আবেদনকারী সদস্যের নিজের এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সমবায় সমিতি, ব্যাংক এবং অন্যান্য মাইক্রো ক্রেডিট প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত ঋণের বিবরণ প্রদান করতে হবে।
সমিতি নির্দেশনা প্রদান করলে আবেদনকারী সদস্যের কাগজপত্র সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য আনুষাঙ্গিক ডকুমেন্টস্ যেমন- ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, চাকুরীজীবিদের ক্ষেত্রে সেলারী সার্টিফিকেট ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। তবে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়মিত সদস্যদের ঋণের ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
আবেদন পত্রের সাথে সমিতির আইডি কার্ড ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং ১ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি জমা দিতে হবে।
একই পরিবারের একাধিক ঋণ আবেদনকারী থাকলে অবশ্যই সমিতিকে তা অবহিত করতে হবে।
নিয়মিত সদস্যগণ বা যে সকল সদস্য নিজের কিস্তি (৭৫%) পরিশোধ করেছেন বা আপদকালীন সুবিধা হিসাবে কিস্তি কম প্রদান করেছেন তারা বা জরিমানা ছাড়া কম কিস্তি জামিন প্রদান করতে পারবেন। তবে কোন জরিমানা ছাড়া কম কিস্তি প্রদান করেছেন সেই সকল সদস্যের শেয়ারও জামিন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। এমনকি ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমতিক্রমে বিশেষ বিবেচনায় ১ বার জরিমানা প্রদানকারী সদস্যের শেয়ারও জামিন হিসাবে গণ্য হতে পারে।
করোনা কালীন সময়ে অর্থাৎ ২৩ মার্চ ২০২০ খ্রিঃ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রিঃ পর্যন্ত যে সকল সদস্য কিস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সুবিধা গ্রহণ করেছেন সেই সকল সদস্যগণও জামিন দিতে পারবেন।
শুধু ঋণ আবেদনকারী যে সকল সদস্যের ঋণের বিপরীতে জামিন হয়েছেন সেই সকল ঋণ নিয়মিত থাকতে হবে। যে সকল সদস্যের বই জামিন নেওয়া হবে তাদের পূর্বের জামিনকৃত সদস্যদের ঋণ নিয়মিত না হলেও চলবে।
ঋণ গ্রহীতা সদস্যকে ঋণের পরিমাণের সাথে অতিরিক্ত ১০% জামিন হিসেবে নিজ বা অন্য সদস্য বা আমানতকারী শেয়ার বা আমানত দাখিল করতে হবে।
সাধারণ ঋণে শুধুমাত্র শেয়ার এবং নিজস্ব এফ.ডি.আর (ঋউজ) ও পারিবারিক অন্যান্য সদস্যদের এফ.ডি.আর (ঋউজ) এবং অন্যন্য প্রকল্পের জামিন (সঞ্চয়ী ব্যতিত) জামিন হিসেবে গৃহীত হবে। তবে জামিনকৃত ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত জামিনকৃত প্রকল্প বন্ধ বা টাকা উত্তোলন করা যাবে না। অতিরিক্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত তফসিলি ব্যাংকের (এমআইসিআর) চেক প্রদান করা হলে-
১ টাকা হতে ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ৫০% শেয়ার জামিন ও ৫০% ব্যাংকের (এমআইসিআর) চেকের জামিন।
৫,০০,০০১ টাকা হতে ১০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ৪০% শেয়ার জামিন ও ৬০% ব্যাংকের চেক জামিন।
১০,০০,০০১ টাকা হতে ৩০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ৩০% শেয়ার জামিন (বুক সিউরিটি) প্রদান করতে হবে বাকি ৭০% জামিন ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে গৃহীত হবে অথবা নিজস্ব স্থায়ী আমানত জামিন দেওয়া যাবে। এছাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক চাহিদা মোতাবেক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।
জামিন প্রদানকৃত শেয়ার বা আমানত ঋণটি পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সমিতির জিম্মায় থাকবে। ঋণ গ্রহীতা ঋণটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হলে সমিতি যে কোন সময় জামিনকৃত শেয়ার বা আমানত কর্তণ/বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।
কোন সদস্য তার শেয়ারের অতিরিক্ত ঋণ নিতে চাইলে কমপক্ষে ২ জন সদস্যের জামিন প্রদর্শন করতে হবে একজন সদস্যকে হতে হবে ঋণ গ্রহীতার পরিবারের বাইরের সদস্য।
পারস্পারিক জামিন বা ক্রস জামিন গ্রহণ যোগ্য হবে না।
১ জন সদস্য সর্বোচ্চ ১২ জন সদস্যের ঋণের বিপরীতে জামিন হতে পারবেন।
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে গৃহীত ঋণে জামিন পরিবর্তন যোগ্য নয়। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ‘‘জামিন পরিবর্তন নীতিমালা’’ অনুসারে কোন ঋণের জামিন পরিবর্তন করা যাবে।
জামিনদার জামিন হতে অব্যহতি নিতে চাইলে দুইভাবে জামিন হতে অব্যহতি নিতে পারবেন। (ক) ‘‘ জামিন পরিবর্তন নীতিমালা’’ অনুসারে সমিতির কাছে নগদ অর্থ (ফান্ডে) গচ্ছিত রেখে। (খ) আনুপাতিক হারে জামিনদারের উপর গৃহীত ঋণে যে অংশের দায় আরোপিত হয় সেই পরিমাণ ঋণ জামিনদার কর্তৃক (নগদে রশিদের মাধ্যমে) পরিশোধিত হলে।
পাঁচ লক্ষ (৫,০০,০০০) টাকার উর্ধ্বে সকল ঋণের ক্ষেত্রে সদস্যকে অবশ্যই কোন তফসিলি ব্যাংকের স্বাক্ষরিত বø্যাঙ্ক ৫ টি (এমআইসিআর) চেক জমা রাখতে হবে এবং ব্যাংক একাউন্ট যাচাইকরণ করার জন্যে ১ টি ৫০০ টাকার চেক লিখে জমা দিতে হবে।
৭৫ বছর বয়সের উর্ধ্বের সদস্য-সদস্যাদের জামিন গ্রহণ যোগ্য হবে না।
খ্রীষ্টীয় পুঞ্জিকার প্রতি মাসে অবশিষ্ট ঋণের উপর ১% হারে সুদ কার্যকরী হবে।
মাসের যে তারিখেই ঋণের কিস্তি সুদ প্রদান করা হোক না কেন সুদের হার বা জরিমানার কোন তারতম্য হবে না ।
যে মাসে ঋণ গ্রহণ করা হবে সে মাসে কিস্তি প্রদান করতে হবে না। ঋণ গ্রহণের পরবর্তী মাস হতে ঋণের সুদ কিস্তি প্রদান করতে হবে। তবে মাসের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে ঋণ গ্রহণ করতে হলে ১৫ দিনের সুদ (০.৫%) প্রদান করতে হবে।
মাসিক সুদ প্রদানে ব্যর্থ হলে বকেয়া সুদের অতিরিক্ত ০.৫% হারে জরিমানা প্রদান করতে হবে। জরিমানাও সুদের মত অবশিষ্ট ঋণের উপর হিসাব করা হবে।
নিয়মিত সদস্যদের ঋণের ক্ষেত্রে সব কিছু ঠিক থাকলে ৫০,০০০ (পঁঞ্চাশ হাজার) টাকা পর্যন্ত ঋণ মাসের যে কোন সময় অফিস (স্টাফ কমিটি) কর্তৃক মঞ্জুর করে তা বিতরণ করা হয়ে থাকে।
তিন লক্ষ (৩,০০,০০০) টাকা পর্যন্ত ঋণ ঋণদান পরিষদ প্রতি সপ্তাহে অনুমোদন করতে পারবে। তিন লক্ষ (৩,০০,০০০) টাকার উর্ধ্বে সকল ঋণের জন্য আবেদনকারী সদস্যকে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী লোন সেকশনের চাহিদা অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমিতির লোন সেকশনে প্রদান করতে হবে।
যে কোন ঋণের ক্ষেত্রে ঋণের সিলিং অনুযায়ী ঋণ মঞ্জুর বা অনুমোদন করা হবে। এক্ষেত্রে ঋণের ধাপ বিবেচনা করা হবে না।
যে সকল সদস্যগণ ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে নিয়মিত কিস্তি প্রদান করেছেন সেই সকল সদস্য সর্বোচ্চ ৩০,০০,০০০ (ত্রিশ লক্ষ) টাকা ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে ২০ লক্ষ টাকার উপরের ঋণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হিসাবে গন্য হবে।
শুধুমাত্র ব্যবসা, জমিক্রয়, ঘরতৈরী ও বিদেশ যাত্রার উদ্দেশ্যে ২০ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে ঋণের আবেদন করা যাবে।
লোন সেকশন প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট ঋণদান পরিষদের কাছে প্রেরণ করবে।
ঋণদান পরিষদ তাদের যাচাই-বাছাই এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তদন্তের পর সুপারিশসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে প্রেরণ করবে।
লোন সেকশন এবং ঋণদান পরিষদ আবেদনকারী সদস্যের কাছে ঋণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য চাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আবেদনকারী সদস্যের সাথে মৌখিকভাবে কথা বলার জন্য সমিতিতে তলব করতে পারবেন।
ব্যবস্থাপনা কমিটি ঋণদান পরিষদের সুপারিশ এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবেন।
পূর্ববর্তী ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ৩ মাসের অধিক কিস্তি খেলাপীা থাকলে অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ খেলাপী থাকলে সেই সব সদস্যদের ঋণ ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক/যৌথ সভায় অনুমোদন করে বিতরণ করা হবে।
অনুমোদিত ঋণের টাকা ঋণ গ্রহীতার পূর্বের অবশিষ্ট ঋণ যদি থাকে তার সাথে সমন্বয় করে বাকী টাকা সদস্যের নিজস্ব অথবা মঞ্জুরকৃত ঋণের সম্পূর্ণ টাকা সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তর করা হবে এবং সঞ্চয়ী চেকের মাধ্যমে উক্ত ঋণের টাকা উত্তোলন করা যাবে।
প্রতিটি ঋণের বিপরীতে পরিবারের পক্ষে একজন সদস্য অঙ্গীকারকারী থাকতে হবে।
৭০ বছরের উর্ধ্বে সদস্যদের ক্ষেত্রে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির লোন ফরমে অঙ্গীকারনামাসহ আলাদা লিখিত অঙ্গীকারনামায় অবশ্যই স্বাক্ষর করতে হবে।
দুই লক্ষ (২,০০,০০০) টাকার উর্ধ্বে ঋণের ক্ষেত্রে ১০০ (একশত) টাকা মুল্যের ৫টি ৫০০/(পাঁচ শত) টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারকারী ও ঋণ গ্রহীতার স্বাক্ষর নিতে হবে। তবে অঙ্গীকারকারীর অবশ্যই ক্রেডিট ইউনিয়নের সদস্য বা সহযোগী সদস্য পদ থাকতে হবে।
ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ঋণের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে নিম্নে লিখিত ছক অনুসারে ঋণের মেয়াদ/কিস্তির সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে :
ঋণের পরিমান |
মেয়াদ (মাস) |
---|---|
১,০০০ - ৯৯,৯৯৯ টাকা পর্যন্ত |
৩৬ কিস্তি |
১,০০,০০০ - ১,৯৯,৯৯৯ টাকা পর্যন্ত |
৪৮ কিস্তি |
২,০০,০০০ - ৩,৯৯,৯৯৯ টাকা পর্যন্ত |
৬০ কিস্তি |
৪,০০,০০০ - ৬,৯৯,৯৯৯ টাকা পর্যন্ত |
৮৪ কিস্তি |
৭,০০,০০০ - ৯,৯৯,৯৯৯ টাকা পর্যন্ত |
৯৬ কিস্তি |
১০,০০,০০০ - ২০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত |
১২০ কিস্তি |
২০,০০,০০১ - ৩০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত |
১৮০ কিস্তি |
৮. ঋণের সিলিং :
সমিতির সদস্যগণ নিচে প্রদত্ত টেবিল/ছক অনুসারে পর্যায়ক্রমে উচ্চতর/ অধিকতর ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন :
ক্রমিক নং |
সর্বোচ্চ শেয়ার |
শেয়ার আমানত |
শেয়ার গুন হিসাব |
ঋণের ধাপ/সিলিং |
---|---|---|---|---|
০১ |
১০,০০০ |
৬ মাস পূর্বের শেয়ার |
১০ গুণ |
১,০০,০০০ |
০২ |
৩৩,৩৩৫ |
৩ মাস পূর্বের শেয়ার |
৯ ,, |
৩,০০,০০০ |
০৩ |
৭৫,০০০ |
৩ মাস পূর্বের শেয়ার |
৮ ,, |
৬,০০,০০০ |
০৪ |
১,৪২,৮৬০ |
৩ মাস পূর্বের শেয়ার |
৭ ,, |
১০,০০,০০০ |
০৫ |
২,১৪,৫০০ |
৩ মাস পূর্বের শেয়ার |
৭ ,, |
১৫,০০,০০০ |
০৬ |
২,৮৫,৮০০ |
৩ মাস পূর্বের শেয়ার |
৭ ,, |
২০,০০,০০০ |
০৭ |
৪,১৭,০০০ |
৩ মাস পূর্বের শেয়ার |
৬ ,, |
২৫,০০,০০০ |
০৮ |
৫,০০,০০০ |
৩ মাস পূর্বের শেয়ার |
৬ ,, |
৩০,০০,০০০ |
উপরে উল্লেখিত ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ সমূহ প্রাথমিক মূল্যায়ন হিসাবে বিবেচিত হবে। ঋণ গ্রহীতার অর্থনৈতিক অবস্থা, পূর্ববর্তী গৃহীত ঋণের ইতিহাস, ঋণের উদ্দেশ্য ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি ঋণের পরিমাণ চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবেন।
সকল ঋণের সিলিংয়ের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ঋণের মেয়াদকাল নূন্যতম ৬ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেই একজন সদস্য পরবর্তী ঋণের সিলিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যে কোন প্রকল্পের ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে পারিবারিক মোট আয় ও মোট ব্যয় এবং মোট সম্পত্তির পরিমাণ বিবেচনা করতে হবে।
যে কোন ধরণের ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে পারিবারিক মোট আয় থেকে মোট ব্যয় (অন্যান্য সমুদয় ঋণের কিস্তি) বাদ দিলে যে উদ্বৃত্ত অর্থ থাকে তা দিয়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা যাবে কিনা তা যাচাই করে ঋণ প্রদান করতে হবে।
পরিবারের উর্পাজনশীল ব্যক্তি এমন একজন যে কোন সদস্যই সমিতি হতে ঋণের সিলিং/ধাপের সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু ঐ সর্বোচ্চ ঋণ চলমান অবস্থায় থাকলে পরিবারে অন্য কোন সদস্য সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন না।
পরিবারের যে কোন সদস্য যদি অন্যান্য সমবায় সমিতি বা প্রতিষ্ঠান হতে ঋণ গ্রহণ করে থাকেন তবে তার সঠিক হিসাব প্রমাণ পত্র সহ আবেদন পত্রের উল্লেখিত ছকে লিপিবদ্ধ করতে হবে। ঋণদান পরিষদ/ব্যবস্থাপনা কমিটি পারিবারিক সমস্ত ঋণ পর্যালোচনা করে সে পরিবারে কত টাকা ঋণ দেওযা যায় ঋণ আবেদনকারীর সক্ষমতা অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে তা নির্ধারণ করবেন।
একটি পরিবারে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা (সাধারণ+হাউজিং+ব্যবসায়িক+অন্যান্য প্রকল্প) পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন যদি ঐ পরিবারের আয় হতে ব্যয় বাদ দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণের কিস্তি চালানোর মত স্থিতি ব্যালেন্স থাকে।
একক পরিবার ইতিমধ্যে বিভিন্ন বই দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে থাকেন সেই পরিবারের অন্য কোন সদস্য নতুন ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে যদি ৫০ লক্ষ টাকার নিচে ঋণ থাকে বা পূর্বের ঋণ যদি পরিশোধিত হয় সেই ক্ষেত্রে পুনরায় ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ প্রাপ্য শুধুমাত্র পলিসি অনুযায়ী সেই পরিমাণ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পরিবারের যে কোন সদস্যের পূর্বের ঋণ যদি অনিয়মিত বা খেলাপী থাকে তাহলে নিয়মিত না হওয়া পর্যন্ত ঐ পরিবারে নতুন ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। পূর্বের ঋণ নিয়মিত করে নতুন ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পারিবারিক ঋণ নীতিমালাটি সাধারণ ঋণ, হাউজিং প্রকল্প ঋণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়িক ঋণ ও অন্যান্য নীতিমালার সাথে বিদ্যমান হিসাবে বলবৎ থাকবে।
পূর্ববর্তী ঋণে অনিয়মিত কিস্তি প্রদানের উপর ভিত্তি করে সাধারণভাবে নীচের টেবিল অনুসারে ঋণ কর্তণ করা হবে :
১০. পূর্ববতী ঋণ কিস্তি খেলাপী/খেলাপী থাকলে কর্তণ নীতি
পূর্ববর্তী ঋণে অনিয়মিত কিস্তি প্রদানের উপর ভিত্তি করে সাধারণভাবে নীচের টেবিল অনুসারে ঋণ কর্তণ করা হবে:
পূর্ববর্তী ঋণের জরিমানা বা খেলাপী হলে |
কর্তণের পরিমাণ |
পূর্ববর্তী ঋণে ১ বার জরিমানা থাকলে বা করোনা কালীন সময়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক সুবিধা গ্রহণ করে কিস্তি প্রদান করলে পরবর্তী ঋণের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে অথবা নিয়মিত কিস্তি প্রদানকারী হিসেবে বিবেচিত হবে |
|
২ মাস হতে ৫ মাস পর্যন্ত জরিমানা থাকলে বা জরিমানার ব্যবধান থাকলে পরবর্তী ঋণের ক্ষেত্রে কম পাবে |
১০% |
৬ মাস হতে ১২ মাস |
২০% |
১৩ মাস হতে মেয়াদ পূর্তির পূর্ব পর্যন্ত |
৩০% |
খেলাপী: ১ মাস হতে ৬ মাস থাকলে পরবর্তী ঋণের ক্ষেত্রে কম পাবে |
৪০% |
খেলাপী: ৭ মাসে উর্ধ্বে থাকলে |
৫০% |
কিস্তি খেলাপী/খেলাপী: জরিমানা মওকুফ নিয়ে ঋণ পরিশোধ করলে পরবর্তী ঋণের ক্ষেত্রে কম পাবে |
৬০% |
ঋণ গ্রহিতার প্রয়োজন এবং যোগ্যতা বিবেচনা করে ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্তণের পরিমাণ পরিবর্তীত হতে পারে।
ঋণ নিরাপত্তা স্কীমের ” এর নীতিমালা অনুসারে ঋণ গ্রহীতা সদস্যকে প্রতি মাসের অবশিষ্ট ঋণের উপর নির্ধারিত হারে প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে। অথবা বার্ষিক ১২% হারে প্রতি মাসে কিস্তি পরিশোধের সাথে সুদের ৫% হারে লোন প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে।
কোন মাসে প্রিমিয়াম প্রদানের ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে বকেয়া সুদ ও জরিমানার লোন প্রিমিয়াম প্রদান সাপেক্ষ্যে পূনরায় ঋণ নিরাপত্তা স্কীমের আওতায় আসা যাবে।
৭০ বছর বয়সের উর্ধ্বে ঋণ গ্রহীতাগন ঋণ নিরাপত্তা স্কীমের আওতায় পড়বে না। এমনকি কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও কোন সদস্য উক্ত নিরাপত্তা স্কীমের আওতায় পড়বে না এবং এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।
কোন ঋণ গ্রহীতা সদস্য ঋণ নিরাপত্তা স্কীমের সুবিধার আওতায় আসার উপযুক্ততা, মাসিক প্রদেয় প্রিমিয়ামের পরিমাণ, কার্যকরী ক্ষেত্রে জরিমানার হার ইত্যাদি সহ এই সংক্রান্ত সকল ক্ষেত্রে ‘‘ঋণ নিরাপত্তা স্কীম’’ এর নীতিমালা কার্যকরী হবে।
প্রতিমাসের যেকোন কার্য দিবসে ঋণের কিস্তি, সুদ ও অন্যান্য চার্জ সমূহ প্রদান করা যাবে।
মাসিক কিস্তি কম প্রদান করার বিশেষ সুবিধা গ্রহণ না করলে প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণে ঋণ ফেরত প্রদান করতে হবে। পূর্ববর্তী যে কোন মাসে কিস্তির অতিরিক্ত প্রদান করলেও নূন্যতম কিস্তির পরিমাণ ঋণ ফেরত প্রদান করতে হবে।
যদি কোন সদস্য ১ মাস হতে ২ মাসের কিস্তি খেলাপী হয় সেই ক্ষেত্রে তাকে মৌখিক ভাবে নোটিশ প্রদান করা হবে। যদি ৩ মাস হতে অধিক মাসিক কিস্তি খেলাপী হয় সেই ক্ষেত্রে এবং মেয়াদোর্ত্তীণ ঋণের ক্ষেত্রে লিখিত নোটিশ প্রদান করা হবে।
প্রতি অর্থ বছরে (জুলাই হতে জুন) ১০০% নিয়মিত কিস্তি প্রদানকারী রিবেটের সুবিধা পাবেন এবং রিবেটের নীতিমালা অনুযায়ী এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে টাইম এলটমেন্ট (টি.এ) সুবিধা নিয়ে জরিমানা ছাড়া আংশিক কিস্তি প্রদান করেন কিন্তু শতভাগ সুদ নিয়মিত পরিশোধ করে যদি কোন সদস্য পূর্ববর্তী অর্থ বছরের বকেয়া কিস্তি পরবর্তী অর্থ বছরে পরিশোধ করেন সেই ক্ষেত্রে রিবেটের সুবিধা পাবেন।
যে কোন সদস্য তার শেয়ারের বিপরীতে কোন ঋণ না থাকলে আপদকালীন সুবিধা হিসাবে ক্রয়কৃত শেয়ারের ৮০% সমপরিমাণ অর্থ ঋণ হিসাবে গ্রহণ করতে পারবেন। এই সুবিধার ক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত জামিন প্রয়োজন হবে না। সমিতির সিইও ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে পরামর্শ ক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে এই ঋণ প্রদান করতে পারবেন ।
যে সদস্য যত বছর মেয়াদী ঋণ গ্রহণ করবেন সে সদস্য ততবার কিস্তি কম বা কিস্তি অব্যহতি নিতে পারবেন যথা -
ক) ৩ বছর মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে (৩৬ কিস্তি) সর্বোচ্চ ৩ বার অথবা ৩ মাস। তবে বছরে ২টির বেশি সুবিধা নেয়া যাবে না।
খ) ৪ বছর মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে (৪৮ কিস্তি ) সর্বোচ্চ ৪ বার অথবা ৪ মাস। তবে বছরে ২ টির বেশি সুবিধা নেয়া যাবে না।
গ) ৫ বছর মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে (৬০ কিস্তি) সর্বোচ্চ ৫ বার অথবা ৫ মাস। তবে বছরে ২ টির বেশি সুবিধা নেয়া যাবে না।
ঘ) ৭ বছর মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে (৮৪ কিস্তি) সর্বোচ্চ ৭ বার অথবা ৭ মাস। তবে বছরে ২ টির বেশি সুবিধা নেয়া যাবে না।
ঙ) ৮ বছর মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে (৯৬ কিস্তি) সর্বোচ্চ ৮ বার অথবা ৮ মাস। তবে বছরে ২ টির বেশি সুবিধা নেয়া যাবে না।
চ) ১০বছর মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে (১২০কিস্তি) সর্বোচ্চ ১০ বার অথবা ১০ মাস। তবে বছরে ২ টির বেশি সুবিধা নেয়া যাবে না
ছ) ১৫বছর মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে (১৮০কিস্তি) সর্বোচ্চ ১৫ বার অথবা ১৫মাস। তবে বছরে ২টির বেশী সুবিধা নেয়া যাবে না।
কিস্তি অব্যহতি গ্রহণ করলেও ঋণের মেয়াদের ক্ষেত্রে কোন তারতম্য হবে না। অর্থাৎ ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই অব্যহতি নেয়া কিস্তির বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
সদস্যদের আকস্মিক প্রয়োজনে ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরী ঋণ প্রদান করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে অনুমোদনকৃত ঋণের ০.২% হারে জরুরী ফি প্রযোজ্য হবে।
অন্যান্য ধারাতে যাই থাকুক না কেন সদস্যদের অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রয়োজনে ব্যবস্থাপনা কমিটি যে কোন সদস্যকে বর্তমান শেয়ারের ভিত্তিতেও ঋণ প্রদান করতে পারবেন। তবে এই সকল ক্ষেত্রে সদস্যকে ‘‘ ঋণ অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ’’ এটা প্রমাণ করতে হবে।
১৪. বিশেষ সুবিধা :
ক) কোন সদস্য বিগত ঋণের কিস্তি নিয়মিতভাবে প্রদান করে আসলে তিনি ঋণ থাকা অবস্থায় নতুন ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সক্রিয় ঋণের মেয়াদ অবশ্যই ১২ মাস এবং ঋণটি ৩০% পরিশোধিত হতে হবে।
খ) বর্তমান শেয়ার ও ধাপ অতিক্রম করে ঋণ গ্রহণ: শুধু মাত্র নিয়মিত শেয়ার জমা ও ঋণ পরিশোধকারী সদস্য-সদস্যাগন এর আওতায় পরবেন। এই ধরণের সুবিধাভোগী ঋণ গ্রহীতাদের ঋণের আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ লিখিত আবেদন করতে হবে এবং উক্ত আবেদন ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক/যৌথ সভায় অনুমোদন হবে। তবে ব্যবস্থাপনা কমিটি সমিতির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে যে কোন সময় এ ধারা পরিবর্তন বা স্থগিত করতে পারবে।
গ) ৬৫ হতে ৭৫ বছর বয়সী ঋণ গ্রহীতাগন ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি বা বর্তমান শেয়ারে ঋণ বৃদ্ধি কিংবা ঋণের ধাপ অতিক্রম সংক্রান্ত কোন সুবিধা পাবেনা। তবে ঋণ গ্রহীতার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা বা ঋণ অঙ্গীকারকারী ঋণ পরিশোধের দক্ষতা বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থাপনা কমিটি শর্ত সাপেক্ষে ঋণ বৃদ্ধি বা বর্তমান শেয়ারের উপর ঋণ বা ঋণের সিলিং বিবেচনা করতে পারবেন।
১৫. টপআপ ঋণ গ্রহণ:
ক) সাধারণ ঋণের ক্ষেত্রে টপআপ ঋণ গ্রহণ করা যাবে এবং যে কোন উদ্দেশ্যেই এই ঋণ নেওয়া যাবে।
খ) ১৮ হতে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিত যে কোন সদস্যই টপআপ ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
গ) যে কোন সদস্য সাধারণ ঋণ গ্রহণ করে নিয়মিত ১২ মাস নিয়মিত কিস্তি প্রদান করেছেন অথবা ৩০% ঋণ পরিশোধ করেছেন তারা টপআপ ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে ঋণ পরিশোধের % হার বিষয়টি বিবেচিত হতে পারে।
ঘ) টপআপ মঞ্জুরকৃত ঋণ হতে পূর্বের ঋণ সমন্বয়, ঋণের সুদ সমন্বয় করে বাকী টাকা আবেদনকারীর সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তর করা হবে।
ঙ) টপআপ ঋণ সাধারনত ৩ মাস পুর্বের শেয়ারের উপর গ্রহণ করা যাবে। ক্ষেত্র বিশেষে বর্তমান শেয়ারের উপর ঋণ করা যাবে।
চ) সাধারণত টপআপ ঋণে কোন ধাপ বিবেচনা করা হবে না শুধু ঋণের সিলিং বিবেচনা করা হবে। ক্ষেত্র বিশেষে একাধিক ঋণের সিলিং অতিক্রম করা যাবে, সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমানাদি দাখিল করতে হবে।
ছ) বর্তমান শেয়ার ও ঋণের সিলিং অতিক্রম করে ঋণ গ্রহণ করলে মঞ্জুরকৃত ঋণের ০৫% হারে অথবা ১ মাসের সুদের ৫০% সুদ সম পরিমাণ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসাবে প্রদান করতে হবে।
জ) টপআপ ঋণ সাধারণ ঋণের প্রতিটি ধারা প্রযোজ্য থাকবে।
১৬. মৃত সদস্যের ঋণ আদায়:
ঋণ গ্রহীতার মৃত্যুবরণের ১ হতে ২ মাসের মধ্যে তার অঙ্গীকারকারী/ নমিনি/ বা পরিবারের উপার্জণক্ষম ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ প্রদান করা হবে।
মৃত সদস্য-সদস্যাদের জামিনদারদের দায়ভার শেয়ার হোল্ডার/নমিনির উপর ন্যস্ত থাকবে এবং জামিনদারদেরও ১ মাস হতে ২ মাসের মধ্যে চিঠি মারফত অবগত করা হবে।
কোন সদস্য ঋণ থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে সেই ক্ষেত্রে উক্ত সদস্যের ঋণটি ৬ মাস পর্যন্ত সুদ বিহীন ঋণ ফেরত দেওয়া যাবে। ৬ মাস পর উক্ত ঋণের অঙ্গীকারকারী/নমিনি/পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্যকে বকেয়া ঋণ কিস্তিতে বা এককালীন বার্ষিক ১২% হারে সুদসহ পরিশোধ করতে হবে।
মৃত সদস্যদের ঋণ থাকা অবস্থায় কোন ক্রমে অন্যান্য হিসাব বন্ধ করা যাবে না।
মৃত সদস্যদের ঋণের ক্ষেত্রে “ মৃত সদস্যদের ঋণ আদায়ের নীতিমালা ২০১৯” অনুযায়ী সমস্ত পক্রিয়া বলবৎ থাকবে।
১৭. পরিশোধিত ঋণ পুনরায় গ্রহণ (Repayment of Repaid Loan) এর নীতিমালা ২০২২ প্রনয়ন:
ক) যে কোন পরিমাণের ঋণ ১ বছর বা তার অধিক সময় নিয়মিত কিস্তি প্রদানের মাধ্যমে যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করবেন সেই পরিমাণ ঋণ পুনরায় গ্রহণ করতে পারবেন। তবে ঋণের আবেদন করতে হবে পূর্বের গৃহিত ঋণের সমপরিমাণ এবং একজন ঋণ গ্রহীতা শুধু একবারই এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
খ) পরিশোধিত ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সমিতির নির্ধারিত আবেদন পত্রের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
গ) কোভিড ১৯ (করোনা ভাইরাসের ২৩ মার্চ ২০২০ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত) সময় ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক সুবিধা গ্রহণকারী সদস্যগণ এই ঋণ গ্রহণের বিবেচ্য হবে। তবে উল্লেখিত সময়ের আগে এবং পরে কিস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে নিয়মিত থাকতে হবে।
ঘ) পরিশোধিত ঋণের ক্ষেত্রে নতুন করে কোন বুক সিউরিটি/জামিন প্রয়োজন হবে না। পূর্বের ঋণের জামিনদারগণ এবং তাদের শেয়ার আমানত (পূর্বে যা ছিল) বহাল থাকবে।
ঙ) প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষে একজন অঙ্গীকারকারী থাকতে হবে।
চ) যদি পূর্বের গৃহিত ঋণে ব্যাংকের চেক জমা দেওয়া থাকে সেই চেক ফেরত নিয়ে নতুন চেক প্রদান করতে হবে। আর যদি ব্যাংকের চেক জমা দেওয়া না থাকে সেই ক্ষেত্রে এবং ৫ লক্ষ টাকার নিচে হলে ১টি বø্যাঙ্ক চেক দিতে হবে। ৫ লক্ষ টাকার উপরে হলে ৪ টি বø্যাংক চেক দিতে হবে। ১ টি ৫০০ টাকার সার্ভিস চার্জ আদায় ও ৩ টি বø্যাঙ্ক চেক দিতে হবে জামিন হিসাবে।
ছ) ২,০০,০০০ লক্ষ টাকার উপরের ঋণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জামিন হিসাবে ১০০ টাকার ৫ টি নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে ঋণ গ্রহীতা এবং পরিবারের পক্ষে একজন অঙ্গীকারকারী স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। ট্যাম্প ঋণ গ্রহীতাকে নিজ খরচে কিনে আনতে হবে।
জ) পরিশোধিত ঋণের জন্য কোন জরুরী ফিস নেওয়া হবে না। তবে সার্ভিস চার্জ (সেবা খরচ) হিসাবে পরিশোধিত ঋণের (হাজারে) ০.৫০% হারে প্রদান করতে হবে। উক্ত টাকা মঞ্জুরকৃত ঋণ হতে সমন্বয় করে বাকী টাকা নিজস্ব সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তর করা হবে। তবে ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক সেবা কাল, সেবামাস. বা সেবা পক্ষ ঘোষনা করলে তখন সার্ভিস চার্জ শিথিল যোগ্য হতে পারে।
ঝ) পরিশোধিত ঋণ মাসের ১ হতে ১৫ তারিখের মধ্যে গ্রহণ করিলে হাজারে ০.৫০% হারে সুদ প্রদান করতে হবে অথবা ১ মাসের সুদের অর্ধেক সুদ প্রদান করতে হবে।
ঞ) মঞ্জুরকৃত ঋণ পরিশোধের সময় সীমা পূর্বের গৃহিত ঋণের মেয়াদ যা ছিল সেই মেয়াদের মধ্য থেকে নতুন করে বৃদ্ধি বা মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
ট) আবেদনকৃত ঋণ হতে পূর্বের অবশিষ্ট ঋণ সমন্বয় এবং যাবতীয় কর্তণাদি সমন্বয় করার পর পরিশোধিত ঋণ আবেদনকারীর সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তর করা হবে।
ঠ) পরিশোধিত ঋণ, ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুমোদন করতে পারবেন।
ড) ১৮ হতে ৬৫ বছর পর্যন্ত সদস্যগন পরিশোধিত ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। ৬৫ বছরের তদুর্ধ্ব সদস্যগন পরিশোধিত ঋণ গ্রহনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
ঢ) ৭০ বছর পর্যন্ত সদস্যগণ ঋণ নিরাপত্তা স্কীমের আওতায় অর্ন্তভ’ক্ত থাকবে এবং ৭০ বছর অতিক্রান্ত হলে তার কাছ থেকে কোন লোন প্রিমিয়াম নেওয়া হবে না। ঋণ থাকা অবস্থায কোন ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু হলে ঋণ নিরাপত্তা স্কীমের নীতিমালা অনুযায়ী দাবী পূরণ করা হবে।
ণ) পরিশোধিত ঋণ পুনরায় গ্রহণ নীতিমালার ধারাসমুহ সাধারণ ঋণ নীতিমালার চেয়ে কিছুটা শিথিল করা হলেও মুলতঃ সাধারণ ঋণ নীতিমালার সাথে অধিকাংশ ধারা বলবৎ থাকবে।
১৮. সংযোজন বিয়োজন:
ক) এই ঋণ নীতিমালা ব্যবস্থাপনা কমিটি যে কোন সময় যে কোন প্রয়োজনে সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন বা বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে এবং এই নীতিমালায় ব্যবহৃত সকল শব্দের সংজ্ঞা এবং সকল ধারার ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটির মূল্যায়নই চূড়ান্ত হবে।
উপরোক্ত ঋণ নীতিমালা ব্যবস্থাপনা কমিটির ২১/১০/২০২২ খ্রীঃ তারিখের মাসিক সভায় সংশোধিত ও সংযোজিত আকারে অনুমোদিত এবং ০১/১১/২০২২ খ্রী: তারিখ হতে কার্যকর।