ফা.লিউ জে সালিভ্যান ( সি.এস.সি ) ভবন
ধরেন্ডা মিশন, সাভার, ঢাকা
( স্থাপিত: ১৯৬০ খ্রী:, রেজি. নং ৮-১০/১০/১৯৮৫ খ্রী: পূন: রেজি নং ৪২-০৩/১২/২০০৩ খ্রী:)
খেলাপী ঋণ ক্রেডিট ইউনিয়ন গুলির মধ্যে ক্যান্সার রূপে বিদ্যমান অবস্থায় বিরাজ করছে। বকেয়া ঋণ, ঋণের সুদ ও জরিমানা মিলে যে পরিমাণ টাকা দাড়ায় তাহা এককালীন পরিশোধ করা খেলাপী সদস্যদের কাছে খুবই কষ্টকর। তাছাড়া খেলাপী ঋণের জামিনদারগন ঋণ উত্তোলন বা অন্যের জন্য জামিন হতে পারেন না। বার বার নোটিশ প্রদান করেও কোন ফল পাওয়া যায় না। উক্ত বিষয়গুলি চিন্তা করে খেলাপী ঋণ গ্রহীতা ও খেলাপী ঋণের জামিনদারদের কথা বিবেচনা এনে ব্যবস্থাপনা কমিটি একটি নতুন ঋণ নীতিমালা প্রনয়ন করছে। যার নাম হবে খেলাপী ঋণ সমন্বয়করণ বা শুদ্ধিকরণ ঋণ প্রকল্প নীতিমালা”।
খেলাপী ঋণ সমন্বয়/শুদ্ধিকরণ ঋণ প্রকল্প নীতিমালা সংশোধনী- ২০২২
১. এই প্রকল্পের নাম হবে খেলাপী ঋণ সমন্বয় বা শুদ্ধিকরণ ঋণ প্রকল্প ২০১৬, সংশোধনী - ২০২২।
২. যে সকল সদস্য ঋণ নিয়ে ৬ মাসের উর্ধ্বে কিস্তি খেলাপী এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খেলাপী শুধু মাত্র তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে।
৩. এই প্রকল্পের জন্য সমিতির চলমান ঋণের ফর্মে খেলাপী ঋণ, ঋণের সুদ ও ঋণের জরিমানাসহ সমপরিমাণ টাকা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৪. অবশিষ্ট ঋণের সাথে পূর্ববর্তী বকেয়া ঋণ, ঋণের সুদ ও ঋণের জরিমানা সমন্বয় করা হবে।
৫. এই ঋণের আওয়ায় ঋণ গ্রহণ করলে পূর্বের ঋণের জরিমানা মওকুফ করা হবে না। তবে বিশেষ কোন প্যাকেজ বা সেবামাস উপলক্ষে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গন্য হবে।
৬. এই ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতার এবং জামিনদারদের জামিনের বাধা সমূহ নিয়মিত করার প্রয়োজন হবেনা। তবে ২য বার শুদ্ধিকরণের আওতায় ঋণ গ্রহণ করলে জামিনদারদের চিঠির মাধ্যমে অবগত করতে হবে।
৭. (ক) ঋণ আবেদনপত্রে নতুন কোন জামিনদারের স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে না, পূর্ববর্তী জামিনদার ও তাদের পূর্ববর্তী জামিনকৃত শেয়ার নতুন ঋণে জামিন হিসাবে বহাল থাকবে।
(খ) পূর্বে গ্রহণকৃত ঋণের চেয়ে বর্তমানে গ্রহণকৃত ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে অতিরিক্ত টাকার জন্য ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে বুক সিউরিটি, ব্যাংকের চেক বা জমি বন্ধক নিতে হবে।
৮. মঞ্জুরকৃত ঋণের কিস্তি সাধারণ ঋণ নীতিমালার ২০১৯ এর ধারা - ৭ বলবৎ থাকবে।
৯. ঋণ সমন্বয়করণ বা শুদ্ধিকরণ প্রকল্পের ঋণ গ্রহণ করে কোন সদস্য একটানা ৬ মাস নিয়মিত কিস্তি প্রদান না করলে সেই সদস্য নিয়মিত সদস্য হিসাবে গন্য হবেন না।
১০. নিয়মিত ৬ মাস বা তার উর্ধ্বে কিস্তি প্রদান করে এককালীন সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করলে পরর্বতী ঋণ গ্রহণের সময় নিয়মিত সদস্যের ঋণ হিসাবে বিবেচিত হবেন।
১১. শুদ্ধিকরণ করে কিস্তি খেলাপী বা মেয়াদোত্তীর্ণ খেলাপী হলে বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঋণের জরিমানা মওকুফ করে ঋণ পরিশোধ করলে পরবর্তীতে ঋণ গ্রহণ করার সময় সাধারণ ঋণ নীতিমালা ২০১৯ এর ধারা ৯,১০,১১,১২,১৩ বলবৎ থাকবে।
১২. খেলাপী ঋণ সমন্বয় বা শুদ্ধিকরণ সাধারণ ঋণসহ হাউজিং ও অন্যান্য যে কোন প্রকল্পের ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
১৩. খেলাপী ঋণ সমন্বয়করণ বা শুদ্ধিকরণ সাধারণ ঋণের ক্ষেত্রে বার্ষিক ১২% হারে সুদ, হাউজিং ঋণের ক্ষেত্রে বার্ষিক বিদ্যমান হারে সুদ ও অন্যান্য প্রকল্পের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বার্ষিক সুদের হার প্রদান করতে হবে।
১৪. এই নীতিমালায় ঋণ গ্রহণের পর জামিনদারগন পরবর্তীতে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন এবং অন্যের জন্য জামিন হতে পারবেন।
১৫. ঋণ গ্রহীতার আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে কিস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা যাবে।
১৬. শুদ্ধি করণের আওতায় একজন ঋণ গ্রহীতা সর্বোচ্চ দুইবার ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু ২য় বার শুদ্ধিকরণের ক্ষেত্রে প্রথম বা কিস্তির সংখ্যা মেয়াদ) অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
১৭. এই ঋণ নীতিমালা ব্যবস্থাপনা কমিটি যে কোন সময় যে কোন প্রয়োজনে সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন বা বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে এবং এই নীতিমালায় ব্যবহৃত সকল শব্দের সংজ্ঞা এবং সকল ধারার ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
উপরোক্ত নীতিমালাটি ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৮/০২/২০২২ খ্রীষ্টাব্দ তারিখের যৌথ সভায় অনুমোদিত এবং ০১/০৩/২০২২ খ্রীষ্টাব্দ তারিখ হতে কার্যকর।